সূত্রে জানায়, বিভিন্ন স্থানে সাধারণ সানুষকে হয়রানি করার অভিযোগ ছিলো তার বিরুদ্ধে বহু পুরনো। চোরাই তেল ও মাদক ব্যবসার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া ডিবি ও থানা পুলিশের নাম ভাঙিয়ে মাসোয়ারা উঠাতেন তারা। এরমধ্যে একাধিকবার পুলিশ মিশু ও বিশুকে গ্রেফতারও করেছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে এসপি হারুন থাকতে ডিবি বিশুকে গ্রেফতার করে পুলিশের নামে চাদাবাজির অভিযোগে। এদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
সূত্র জানায়, এ চক্রটি নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসা বাণিজ্য না করেও অঢেল টাকার মালিক। বিশু শহরের পাইকপাড়া ও পুলিশ লাইনস এলাকায় তৈরি করেছেন বহুতল ভবন। সোর্স মিশু সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকায় তিন তলা বাড়ি সহ রয়েছে একাধিক প্লট। চক্রটি মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে ও জড়িত বলে জানিয়েছেন একাধিক লোক। এরা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে ডিবি, সিআইডি ও থানা পুলিশের ভয় ভীতি দেখিয়েই অর্থ রোজগার করাই তাদের অন্যতম পেশা। এদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে পুলিশের আরও দুর্নাম রটাবে।
চক্রটি জেলার একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিবির ওসি এনামুল কবিরের নাম ভাংগিয়ে এসব অপর্কম করে যাচ্ছে বিগত ৪ মাস যাবত। চক্রটি প্রতি মাসে ডিবি, সিআইডি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নামে লাখ লাখ টাকার মাসোয়ারা আদায় করছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এ ব্যপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জায়েদ চৌধুরী জানান, এ নামে আমার কোন বন্ধু নেই। তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার জন্য তিনি বলেন। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দেন। সিআইডি এএসপি হারুন রসিদ বলেন, আমারা কাউকেই এমন নির্দেশ দেইনি। প্রতারক মোফাজ্জল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মসিউর রহমান জানান, টাউট বাবু, মিশু, বিশু চক্রকে ডিবি ও থানা পুলিশ গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।